জামিল বিশ্বাসঃ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী জামির হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে হরিরামপুর পুলিশ প্রশাসন।৭ অক্টোবর (বুধবার) রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুঈদ চৌধুরী জানান, পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলে ওই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি পুলিশের অজানা ছিলো। তিনদিন পর ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে শিশুটির বাবা থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। বুধবার সন্ধ্যায় নটাখোলা চরাঞ্চল এলাকা থেকে ধর্ষক জামিরের ভাই কামাল ও তার মা জয়গুন বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মূল আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে নামে হরিরামপুর পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের অভিযানে ওই দিনই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে শেখ জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন হরিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মোশাররফ হোসেন।উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ অক্টোবর) পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চল নটাখোলার বালিয়ারচর গ্রামে ৫ বছরের ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিবেশি শেখ ছামাদের ছেলে শেখ জামির (৪০) তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই শিশুর হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আসামীদের বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। প্রধান আসামী জামির হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে।৪ জন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামীসহ ৩জনকে বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ০৪ এর বিচারক পারভেজ আহম্মেদ এর আদালতে উপস্থিত করা হয়। প্রধান আসামী জামির হোসেন আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারক প্রধান আসামীসহ বাকী দুইজনকেও জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দিয়েছেন।