
চৌধুরী মুহাম্মদ রিপন রাউজান হতে ফিরেঃ
বৌদ্ধ ধর্মের একটি ধর্মীয় আচার, ও উৎসব, যা সাধারণত বাংলা চন্দ্রপঞ্জিকা অনুযায়ী প্রবারণা পূর্ণিমা (ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা) পালনের এক মাসের মধ্যে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে ত্রি-চীবর নামে বিশেষ পোশাক দান করা হয়। বোদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ পূণ্যের আশায় প্রতি বছর এভাবে চীবরসহ ভিক্ষুদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রীও দান করে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় রাউজান উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৈদ্যপাড়া সার্বজনীন মহামেধ বিহারে দিনব্যাপী ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাস মহামারি কারণে মাস্ক পরিদান করে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশ গতকাল ( ৩০শে অক্টোবর ২০২০) ভান্তে সচিতানন্দ মহাথের কাঝড় দীঘির পাড় জ্ঞ্যেতবন বিহার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সহ সভাপতি পূর্ব গুজরা সার্বজনীন মৈত্রী বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত দেবানন্দ মহাথের, প্রধান ধর্দেশক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার যুগ্ম মহাসচিব মধ্যম আধারমানিক বুদ্ধরশ্মি বিহারের বিহারাধ্যক্ষ,প্রাজ্ঞ দেশিক প্রজ্ঞাবারিধি অধ্যাপক সুমেধানন্দ মহাথের,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভদন্ত ভদ্রিয় মহাথের, ভদন্ত তিস্ সানন্দ মহাথের, ভদন্ত সচ্ছিতানন্দ মহাথের, ভদন্ত সুমিত্তানন্দ থের, ভদন্ত পূর্ণানন্দ থের,ভদন্ত অনুরুদ্ধ থের, ভদন্ত করুণানন্দ থের প্রমুখ। কঠিনচীবর অনুষ্ঠান আয়োজক হিসাবে এলাকার যুব সমাজ ও বৈদ্যপাড়া সার্বজনীন মহামেধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্ঞানশ্রী ভিক্ষু এবং সাধারণ সম্পাদক বিজয়ন বড়ুয়া। ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে ১৫১ টি ফানুস উক্তলনের মধ্য দিয়ে ১০ বছর পূর্তি উদযাপন সমাপ্তি হয়।