
দেশের জঙ্গিবাদের প্রতিপালক বিএনপি। বিএনপিতে যেহেতু রয়েছে জিলেপির প্যাচের মতো একাধিক দলের সংমিশ্রণ সেহেতু তাদের ছায়াতলে খুব সহজেই ডালপালা বিস্তার করে জঙ্গি। জঙ্গিদের শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক সহায়তাও করেছিল বিএনপি। বিএনপিকে এই আর্থিকভাবে সহায়তা করেছিলো জামায়াত। এককথায় বলতে গেলে বিএনপি গোটা দলটাই জামায়াতময়।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির জামায়াত প্রীতি আবার নজরে এসেছে। বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা ও জঙ্গি মদদ দাতাদের অনেকের। জঙ্গিদের পেছনে অর্থ ঢালার অভিযোগে বিচারের মুখে থাকা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাও বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। জঙ্গি সংগঠন হামজা বিগ্রেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৮ অগাস্ট ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে গ্রেফতার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাকিলাকে। তার দুই সহকর্মী আইনজীবীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল সেদিন। সেই দণ্ডিত শাকিলাও বাদ যায়নি বিএনপির মনোনয়ন তালিকা থেকে। শুধু শাকিলা নয় বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কিছু জঙ্গি মদদদাতা।
একটি নির্বাচনের মনোনয়ন দেয়ার জন্য সব সময় খেয়াল রাখা হয় মনোনয়ন প্রার্থী কোনো অপরাধ, অপকর্ম, মামলার সাথে জড়িত আছে কিনা। খোঁজ নেয়া হয় মনোনয়ন প্রার্থীর বিগত কর্মকাণ্ডের। কিন্তু বিএনপির মনোনয়নপত্র দেয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। বিএনপি প্রাধান্য দিয়েছে জঙ্গি মদদদাতাদের।
জঙ্গি মদদদাতাদের প্রাধান্য দেয়াতে অনেকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাচ। দেশে বর্তমানে জঙ্গি মুক্ত। কিন্তু বিএনপি জঙ্গির মদদদাতাদের মনোনয়ন দিয়ে আবার ভাবিয়ে তুলছে দেশের জনগণকে। অনেকেই আশঙ্কা করছে বিএনপি জঙ্গি মদদদাতাদের মনোনয়ন দিয়ে আবার অন্ধকারের দিকে দেশকে ধাবিত করার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে। ( অদ্বিতীয় বাংলা হতে )