
পুরষ্কার/ক্রেষ্ট/অর্থের আশায় বা নেশায় কখনোই লিখি না।মনের কথাগুলো বের করে শব্দের চাষ করতে ভালো লাগে বিধায় লিখি।লেখার মান খারাপ-ভালো এটা আরশই ভালো জানেন।লেখাটা আসে দৈবিক।চাইলেই লেখক হওয়া যায় না।এতে অহংকার করারও কিছুই নেই।যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই সব মানুষকে দিয়ে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মসৃণ পরিচালনা করছেন।আমরা তাঁর আজ্ঞাবহ মাত্র।চেষ্টা, শ্রম আর প্রভুর হাত থাকে লেখকের লেখনীতে।তাই ভালো-খারাপ মানদণ্ড বিচারিক কার্যক্রমটাও তাঁরই হাতে হোক।আমরা বিভাজনে খুশি যদিও বলি সব মানুষ সমান!এসব কথার কথা!প্রকৃতপক্ষে আমরা নিজেরাই স্বনামে দীক্ষিত হতে চাই।ভাগিয়ে আনতে চাই বড় বড় সম্মাননা। যদিও বলি এটা আমাদের পরিচয়ে বেশ সহায়ক।অদ্ভুত মানব সৃষ্ট সব নিয়ম!কাকে দেখানোর নিমিত্তে এসব খেলার আয়োজন?
মনটা যে কোন কারণে খুব খারাপ হয় আবার নিজেই তা সমাধান খুঁজে বেড়াই।কেন মন খারাপ হবে?যে পৃথিবীতে পাঠালো তাঁর কাছেই তো যাওয়ার ঠিকানা জন্মপূর্ব নির্ধারিত!সো,টেনশন কেন?জন্ম যেমন আনন্দের তেমনি মৃত্যুও বেশ আনন্দের,উপভোগ্য। যদি উত্তম কাজ করে যাওয়া যায় আরো ভালো।নিজেকে অন্যের উপকারে ঢেলে দিতে পারলে অনেক শান্তি পাওয়া যায় বৈকি।মৃত্যুর সংবাদে যদিও আবেগের তাড়নায় মানুষ কাঁদে,এটা ঠিক নয়।সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।কেউ তো আর বাঁচবে না।তাই অলৌকিকে পদার্পণে দুঃখ কেন?হাসা উচিৎ। এখন মানুষ বা কোন প্রাণী মারা গেলে বিন্দুমাত্র আপসোস করি না।খুশিই হই।অনন্ত অসীমে যাত্রা।প্রভুর কাছেই সবচেয়ে বড় নিরাপদ জায়গা।মনুষ্য সৃষ্ট সমাজে শুধু বিভেদ,ক্ষমতা আর চাতুর্যতায় ব্যবহার করার প্রয়াস চালায়।যেই টুংটাং শব্দ হয় সরলতার-ধাক্কা লাগে তখনই।মানুষতো একেকজন একেক পৃথিবী। কারো সাথেই কারো মিল হবে না।তবুও কেমনে মান মাপকাঠির বিচার করে যদিও নিজেরাই আমরা অনেক অপারগতা আর স্বার্থচেতনায় অন্ধ।একচেটিয়া শাসন শোষণে থাকে পুরো সমাজ।এই জেগে থাকা ঘুমের ঘোর কে ভাঙ্গাবে?মানুষ পারবে না।প্রভুই নিজ দায়িত্বে এসব মূর্খতার অবসান ঘটাবেন।এমন কাউকে মানুষ রূপে শক্তি আর সামর্থ্যের অধিকারী করে পাঠাবেন তিনিই করবেন সব অসত্যের বুভুক্ষিত খতিয়ানের হিস্যা।সেই পর্যন্ত অপেক্ষা আর নতুন আলোর মুখ দেখার তৃষিত নয়নে নিবদ্ধ করা অচেনা আলেখ্য আগামীকে।
পারভিন আক্তার
কবি ও লেখক
চট্টগ্রাম