মোঃ কামাল হোসেনঃ
চট্টগ্রামের ফট্কিছড়ি বিবির হাটে নির্মাণাধীন এক্সিস ফটিক প্লাজায় দোকান বরাদ্দে প্রতারণা ও আপোষের নামে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে ফটিকছড়ি মাইজপাড়া এলাকার মো. সামশুল আলমের পুত্র প্রবাসী মো. নুরুল আলম এর সংবাদ সম্মেলন ১৮ ফেব্রুুয়ারি বেলা ১২টায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এর বড় ভাই হাবিবুল্লাহ বাহার ও এক্সিস ফটিক প্লাজার এমডি মো. শফিউল আলম এর বিরুদ্ধে প্রবাসী মো. নুরুল আলম ব্যাপক প্রতারণা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী মো. নুরুল আলম বলেন, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আমি বিদেশ হতে দেশে ফেরার পর সাময়িক পরিচয় সূত্রে এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাই হাবিবুল্লাহ বাহার ও এক্সিস ফটিক প্লাজার এমডি শফিউল আলম এক্সিজ ফটিক প্লাজার দোকান বরাদ্দ নেওয়ার প্রস্তাব করলে আমি ১ম তলায় ২৪০ ও ২৪১নং দোকান জন্য রশিদ মূল্যে ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান করে দোকানদ্বয় বরাদ্দ নিই। যা আমাকে দলিল প্রদান করেন।
হাবিুল্লাহ বাহার ১মপক্ষ হয়ে রশিদ মূল্যে বিভিন্নভাবে ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আমার নিকট থেকে গ্রহণ করে। পক্ষান্তরে তারা প্রতারনা করে আমার অজান্তে ২৪০নং দোকান ভূমি মালিক মহিউদ্দীনের নিকট হস্তান্তর করেন। হাবিুল্লাহ বাহার এর ভাই অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হওয়ায় প্রশাসনিকভাবে প্রভাব খাটিয়ে সে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারনা চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি তারিখে উক্ত ব্যক্তিবর্গ আপোষের কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে বায়েজিদ থানার অধীনে চন্দ্রনগর আবাসিকে জেনে ব্লু বিল্ডিংয়ের ১ম তলায় হাবিুল্লাহ বাহার এর অফিসে বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটায় ঢোকার মুহুর্তে হাবিুল্লাহ বাহার ও এক্সিস ফটিক প্লাজার এমডি মো. শফিউল আলম আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা করে।
আমি কোন রকমে প্রাণে বেঁচে বায়েজিদ থানায় যাই এবং থানার ওসি কে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে তৎক্ষনাৎ পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করেন। উপস্থিত তদন্ত অফিসারকে ঘটনার সিসি ভিডিও ফুটেজ জব্দ করার জন্য অনুরোধ করি। ঘটনা তদন্ত করার পর থানার অফিসাররা সত্য ঘটনা জানার পরও মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
থানার অফিসাররা বলেন, হাবিবুল্লাহ বাহারের ছোটভাই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিধায় আমাদের পক্ষে মামলা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। থানার কর্মকর্তাগণ আমাকে মামলাটি আদালতে করার জন্য পরামর্শ দেয়। এরপর আমি হাবিবুল্লাহ বাহারের ভাই অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের এর কাছে গিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত অবহিত করি।
এরপর তিনি বলেন, হাবিবুল্লাহ বাহারকে টাকা দেওয়ার সময় তুমি কী আমাকে বলে দিয়েছো। এক্ষুনি অফিস থেকে বেরিয়ে যাও। অন্যদিকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের কাছে যাওয়ার খবর পেয়ে হাবিবুল্লাহ বাহার গং আমার উপর ক্ষেপে যায়। আমাকে জানে মেরে ফেলা, পুলিশ দিয়ে ক্রসফায়ার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করার হুমকি দেয়।
আমি এক পর্যায়ে বিষয়টি মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী মহোদয়কে জানালে তিনি আমাকে মাননীয় পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করতে বলে। মাননীয় পুলিশ কমিশনার ফটিকছড়ি এলাকাটি তার আওতাধীন নয় বলে জানিয়ে আমাকে মাননীয় পুলিশ সুপারের কাছে যেতে পরামর্শ দেন। আমি নিরুপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত মহামান্য আদালতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং চট্টগ্রাম আদালতে সিআর মামলা দায়ের করি।
আমি দেশের প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা, দোকান পুনরুদ্দার ও আসামিদের শাস্তি দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় বিনিয়োগ করে দোকান ক্রয় করেছি। কতিপয় প্রশাসনের পরিচয়ে তাদের লোকজন প্রতারণা করে আমাদেরকে পথে ভিখারী বানানোর পায়তারা করছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমাদের বাঁচান, আমাদের রক্ষা করুন।